Mysepik Webdsk: জীবনের একটা সময় ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রায় সবার জন্যই কঠিন হয়ে পড়ে। স্থূলকায় হওয়ার কারণে শরীরে নানা রকম জটিলতা দেখা দেয়। আর শরীর এই বাড়তি ওজন ঝরাতে কত জন কত ধরনের কসরতই না করেন! কেউ কেউ তো ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময়ও ব্যয় করে থাকেন এর পেছনে। কেউ কেউ তো আবার না খেয়েও থাকেন। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না যে খাওয়া না কমিয়েও অল্প সময়ে খুব সহজেই ওজন কমানো যায়। এর জন্য দরকার উপযুক্ত কয়েকটি ব্যায়ামের।
আরও পড়ুন: রান্নাঘরে থাকা নিত্যপ্রয়োজনীয় উপকরণ থেকে যেভাবে মুখের দাগ দূর করবেন?
সহজেই ওজন কমাতে যে ব্যায়ামগুলো করবেন-

হাঁটা: এই হাঁটার আছে অনেক উপকারিতা। হাঁটার ফলে পেশী সুগঠিত হয়, শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সুরক্ষিত থাকে ও মেরামত হয়, হজমে সাহায্য করে, এবং মস্তিষ্ককেও সতেজ রেখে বার্ধক্য প্রতিরোধ করে। শুধু তাই নয় হাঁটা শরীরের ওজন কমানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যায়াম। তবে ওজন কমানোর জন্য কিন্তু স্বাভাবিক হাঁটার চেয়ে একটু দ্রুত হাঁটতে হয়। হাঁটার ফলে মেজাজ বা মুড ভালো থাকে এবং স্ট্রেস বা মানসিক চাপ কমাতেও সাহায্য করে।

স্ট্রেংথ ট্রেনিং: কয়েকটা অভ্যেসের মাধ্যমে পেশির ক্ষমতা বাড়ানো এবং পেশিক্ষয় রোধ করাকে সাধারণ ভাবে স্ট্রেংথ ট্রেনিং বলে। যেমন ডাম্বেল, বার্বেল, কেটলবেল, স্যান্ডব্যাগ বা মেডিসিন বল জাতীয় কোনো বস্তু বল প্রয়োগ করে উপরে-নিচে তোলার মাধ্যমে এই ব্যায়াম করা হয়। এই ব্যায়ামগুলো করার ফলে শরীরে একটা চাপ পড়ে, প্রেসার তৈরি হয় ফলে শরীরের মেদ কমার সঙ্গে সঙ্গে ওজনও হ্রাস পেতে শুরু করে। অনেক সময়ে বাইরে থেকে ওজন ব্যবহার না করে নিজের শরীরের ওজনের বিপক্ষেও এক্সারসাইজ় করা হয়ে থাকে। যেমন পুশ-আপ, স্কোয়াট ইত্যাদি।
আরও পড়ুন: সাইনাসকে নিয়ন্ত্রণে আনতে করুন এই কাজগুলি

স্ট্রেচিং: যে কোনও এক্সারসাইজ—সে নাচ হোক, বা জিমে ওয়র্কআউট, কিংবা যোগাসন অথবা সাইক্লিং, দৌড়ানো…. স্ট্রেচিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্ট্রেচিং মূলত একধরনের ফ্লেক্সিবিলিটি ব্যায়াম। এর ফলে পেশির সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও এর প্রভাব অপরিসীম।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা নিয়মিত ব্যায়াম করেন তারা রুটিনের অনেকটা জায়গাজুড়ে ট্রেচিং রাখতে পারেন। এতে উপকার ছাড়া অপকার হবে না। এক্সারসাইজ করার শুরুতে এবং শেষে অবশ্যই করুন স্ট্রেচিং।

দৌড়: ওজন কমার ক্ষেত্রে দৌড়ও একটি উপকারী ব্যায়া। আপনি যদি সকালে দৌড়াতে পারেন তাহলে শুধু নিজেই ফিট থাকবেন না বরং বিভিন্ন রকমের রোগের সঙ্গে লড়াই করতে পারবেন । নিয়মিত ৩০মিনিট দৌড়ালে আমরা নিজেদের শরীর সুস্থ রাখতে পারি। দৌড়ানো হল সবচেয়ে সেরা ব্যায়াম। দ্রুত কিছুক্ষণ দৌড়ানোর পর অল্প সময়ের একটা ব্রেক নিতে পারেন। এরপর দিন যত যাবে তত দৌড়ের স্থায়িত্বকাল বাড়িয়ে নেবেন। এতে করে মেদ কমবে, পাশাপাশি পা ও শরীরের উপরের অংশ শক্তিশালী হবে। সবসময় চেষ্টা করবেন সমতল, ঘাসযুক্ত রাস্তা দিয়ে দৌড়ানো। যানবাহনের নিষ্কাশিত ধোঁয়াতে আপনার যদি শ্বাসের কষ্ট হয় তবে সেই সব অঞ্চল এড়িয়ে চলুন। সবচেয়ে ভালো হয় কোনো পার্ক বা খেলার মাঠে যদি আপনি দৌড়ানো শুরু করেন। ভোরবেলা দৌড়নো শরীরে পক্ষে সবচেয়ে ভালো।