পুজোর দিনগুলোতে বাইরে খাওয়া দাওয়ার ব্যাপারে কি বলছেন বিশেষজ্ঞেরা? জেনে নিন

Mysepik Webdesk: পুজো চলে এসেছে। আর মাত্র কয়েকটা দিন। ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে কেনাকাটা। তবে এবারের দুর্গাপুজা কিন্তু অনান্যবারের তুলনায় একেবারেই ব্যতিক্রমী। কারণ একটাই, করোনাভাইরাস। এই মারণ ভাইরাস বিশ্বজুড়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে। মুখে মাস্ক, হাতে স্যানিটাইজার লাগিয়ে বেরোতে হচ্ছে। এবছর অনান্যবারের তুলনায় অনেক বেশি হাইজিন নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঋতু পরিবর্তনের ফলে প্রায়ই জ্বর হচ্ছে, কীভাবে বুঝবেন সেটা সাধারণ জ্বর, করোনা নয়?
সারাবছর হাইজিন নিয়ে চিন্তাভাবনা করলেও এই ক’টা দিন অনেকেই খাওয়া-দাওয়ায় রাশ টানতে পারবেন না। অনান্যবার ষষ্ঠী থেকে দশমী সারাটা দিন বাড়ির বাইরেই কাটত। সকালের জলখাবার থেকে রাতের ডিনার, পুরোটাই কেউ কেউ বাড়ির বাইরে সারতেন। কারোর আবার পরিবারেই হত ‘মহাভোজ’। তবে এবারে সেটা নিয়ে ভাবতে হবে। করোনাকালে, বিশেষ করে স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, রাস্তায় খাবার বানানো হলে হাইজিন মানা খুব কষ্টকর। তাই রাস্তার খাবার বা বাইরের খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
দেখে নেওয়া যাক, কী কী সাবধানতা অবলম্বন করে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা—
১) বাইরে খেতে যাওয়ার আগে ভালোভাবে সাবান কিংবা হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে। অথবা হাতে স্যানিটাইজার লাগিয়ে নিতে হবে। অবশ্যই মাস্ক পরে বের হবেন।
আরও পড়ুন: কেন খাবেন আলুর রস
২) পুজোর দিনগুলোতে বাড়ি থেকে বেরোনোর সময় অবশ্যই সঙ্গে জল রাখবেন। রাস্তার জল একদম পান করবেন না। শুধু জলই নয় সঙ্গে জুসও রাখতে পারেন। কারণ গরম শরীর যাতে ডিহাইড্রেটেড না হয়, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৩) পুজোর চারদিন বাইরে খেতে হলে ভালো রেস্তোরাঁ বাছুন। যেখানে খুব ভালোভাবে হাইজিন করা হয়।
৪) খুব বেশি মশলাদার খাবার এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। স্টিমড, বেকড অথবা রোস্টেড খাবার এই সময়ে খাওয়া ভালো। এতে শরীরের ওপর চাপ পড়বে না।
৫) সারাদিন কতটা খাচ্ছেন, কী কী খাচ্ছেন সেদিকেও নজর রাখতে হবে। ভারসাম্য রেখে একবেলা খুব স্পাইসি খাবার খেলে, পরের বারে কম স্পাইসি খাবার খান। এর ফলে ক্যালোরিতে একটু ভারসাম্য রক্ষা হবে।
৬) ফুচকা, আলুকাবলির মতো খাবার এবছর পুরোপুরি এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এই সব খাবারে হাইজিন মানা অসম্ভব।
৭) পুজোর দিনগুলোতে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার কম খাওয়াই ভালো। সেদ্ধ সবজি, স্যালাড, ফল বেশি বেশি করে খেতে পারেন। এর ফলে স্বাস্থ্য অনেকটাই ভালো থাকবে।
৮) এই সময়ে উল্টো-পাল্টা খাবার একদম এড়িয়ে যেতে হবে। কারণ শরীর খারাপ হয়ে গেলে করোনাকালে খুব সমস্যায় পড়তে হবে। তাই যতটা সম্ভব বাইরের খাবার এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
পুজোর সময়ে বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের সঙ্গে যদি বাইরে খেতে যাবেন ভাবেন, তাহলে দুই-একদিন আগে থেকেই খোঁজখবর নিয়ে উপযুক্ত রেস্তোরাঁগুলির একটি লিস্ট বানিয়ে ফেলুন। তারসঙ্গে কী কী খাবেন, তারও একটি লিস্ট বানিয়ে রাখুন।