রাজ্যে কবে থেকে ভ্যাকসিন পাবেন সাধারণ মানুষ? জানালেন ফিরহাদ হাকিম

Mysepik Webdesk: এই নিয়ে ষষ্ঠ পর্যায়ে পশ্চিমবঙ্গে করোনার টিকাকরণ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। টিকা দেওয়া হয়েছে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশকর্মী, পুরকর্মী এবং সাফাইকর্মীদের। যাঁরা মূলত প্রথম সারিতে দাঁড়িয়ে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছেন, তাদেরকেই প্রথম দেওয়া হয়েছে এই টিকা। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও সাধারণ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, কবে থেকে রাজ্যে সাধারণ মানুষকে দেওয়া হবে করোনার টিকা। আর এই প্রশ্নের উত্তর জানিয়েছেন কলকাতার পুরসভার প্রধান প্রশাসক তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
আরও পড়ুন: স্বাধীন ভারতের প্রথম সরকার নেতাজির নেতৃত্বে গঠিত হয়েছিল: নরেন্দ্র মোদি

রবিবার তিনি চেতলায় ‘দুয়ারে সরকার’ শিবিরে উপস্থিত হলে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, সোমবার থেকেই সাধারণ মানুষকে করোনার টিকা দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হবে। এই কাজ শুরু হবে মেয়র্স ক্লিনিক থেকেই। তবে শুধুমাত্র যাঁদের বয়স ৫০ বছরের বেশি, তাদেরকেই টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হবে। সেই কারণে প্রথমেই তাঁদের নাম নথিভুক্ত করা হবে। সেই নাম পৌঁছে যাবে দিল্লিতে। তারপর সেখান থেকে টিকা এসে পৌঁছালে সেই টিকা তাঁদের দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বক্তৃতার আগেই ‘জয় শ্রী রাম স্লোগান’, বক্তব্যই রাখলেন না অসন্তুষ্ট মমতা

এ দিন তিনি বলেন, “আমিও চাই সাধারণ মানুষকে দ্রুত ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু করা হোক। সোমবার থেকে মেয়র্স ক্লিনিকে একটা কাউন্টার করব। যাঁরা করোনা ভ্যাকসিন নিতে ইচ্ছুক তাঁরা সেখানে নাম নথিভুক্ত করাতে পারেন। তবে নাম নথিভুক্ত করার পরের দিনই যে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, এমনটা নয়। হতে পারে ভ্যাকসিন পেতে পেতে ফ্রেব্রুয়ারি মাস হয়ে যাবে। হাতে সময় আছে। তবে সোমবার থেকেই নাম নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, “রাজ্যের যুবকদের নিয়ে চিন্তার কোনও কারণ নেই। আমার মেয়েরও কোভিড হয়েছিল। নিজে থেকেই ঠিক হয়ে গেছে। তবে রিস্কজোনে রয়েছেন বয়স্করা। তাঁদের কথা আগে ভাবতে হবে।”