জল ছাড়াই খাঁকি ক্যাম্বেল হাঁস প্রতিপালনে কর্মহীন পরিবারের ফিরতে পারে বরাত

নদিয়া, ২০ সেপ্টেম্বর: বর্তমান করোনা আবহে কর্মহীন হয়েছে অনেকেই। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে আগামীতেও কর্মের যে কোনও নিশ্চয়তা নেই, তা বলা বাহুল্য। তবে নিজেদের উদ্যোগে অল্প বিনিয়োগে স্থানাভাবে বাড়ির ছাদেও ছোটখাটো ফার্ম গড়ে তৈরি করা যায় স্বাধীন ব্যবসা। উৎপাদিত দ্রব্যের বাজার এবং কাঁচামালের জোগান এই দুই বিষয়ে একটু সচেতন হলেই মেলে জীবিকার সুলুক সন্ধান। তবে পশুপাখি প্রতিপালন বর্তমানে বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে ডিম ও মাংসের চাহিদার ভিত্তিতে।
আরও পড়ুন: জমায়েত এড়িয়ে, করিমপুরে তৃণমূলে যোগদান অব্যাহত
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার অধিকারী এবং যেকোনও পরিবেশে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন খাঁকি ক্যাম্বেল প্রজাতির হাঁস প্রতিপালনে উৎপাদিত ডিম বাজারে বেশ চাহিদা আছে। চার মাস থেকে দেড় বছর পর্যন্ত প্রতি মাসে ডিম পাড়ে এরা। মাসের শেষে পাঁচদিন বিরতির পর আবার শুরু হয় ডিম দেওয়া। সহজলভ্য ম্যাষ জাতীয় কিছু খাবারেই সন্তুষ্ট থাকে এরা। এমনকী সাঁতারের জন্য কোনও জলাশয়ের প্রয়োজন হয় না।
আরও পড়ুন: এবার থেকে সরকারি বাস, ট্রাম, ফেরির স্মার্টকার্ড রিচার্জ করা যাবে অনলাইনে
এর সঙ্গে সম্পৃক্ত আর একটি ব্যবসা হল ডিম ফুটে বাচ্চা তৈরি করে বিক্রি, সেক্ষেত্রে প্রতি পাঁচটি মহিলা হাঁসের জন্য একটি পুরুষ হাঁস প্রয়োজন। ডিম ফুটে বাচ্চা তৈরি করার ব্রুডিং ব্যবস্থা পশ্চিমবঙ্গের অনেক জায়গায় থাকলেও এই প্রজাতির হাঁস প্রতিপালন খুব একটা দেখা যায় না। তবে নদিয়ার শান্তিপুরের অরিজিৎ গুহ প্রথমবারে বেশ কিছু ভুল-ত্রুটি সংশোধন করে দ্বিতীয়বারে সাফল্য লাভ করেছেন।